Saturday, 24 January 2015

Anti-Dowry Movement Bangladesh-যৌতুক প্রতিরোধ আন্দোলন বাংলাদেশ








সচেতনতা বৃদ্ধি গড়ে তুলবে প্রতিরোধ।

যৌতুক একটি সামাজিক ব্যাধি। বাংলাদেশে যৌতুকের লালসার শিকার হয়ে অকালে প্রাণ দেয় নারী। ২০০৩ সালে জনাব বেল্লাল হোসেন ফতেহ পুরীর উদ্যোগে যাত্রা শুরু "যৌতুক প্রতিরোধ আন্দোলন বাংলাদেশ " নামে এই সংগঠনের। যৌতুকের প্রধান আক্রমনের শিকার হত দরিদ্র ,নিন্ম বিত্ত ,মধ্য বিত্ত পরিবারে। অশিক্ষা,ধর্মান্ধতা,বেকারত্ব ,লোভ,হীন মন্যতা ,কৃপনতা,সন্তানের জন্য ব্যয় কৃত অর্র্থ পুষিয়ে নেয়ার প্রবণতা থেকে যৌতুকের সৃষ্টি। মানব সভ্যতার আদি থেকে উপঢউকনের প্রচলন ছিলো। কালের বিবর্তনে রূপ পাল্টে আজ এসেছে " কন্যা পক্ষ যা দেয় " শিরোনামে। উপযুক্ত ছেলে সন্মান রাখবেন ইত্যাদি ইত্যাদি। কন্যা দায় গ্রস্থ পিতা -মাতা বুঝেন এর কষ্ট। অনেক ক্ষেত্রে গায়ের রং ,বর্ণ ,আচরন,দৈহিক গঠনও যৌতুকের উপাদান হিসাবে কাজ করে.বিয়ের পূর্বে অনেকে কথা দিয়ে কথা রাখতে পারেন না। শুরু হয় শশুরালয়ের অত্যাচার , মানসিক নির্যাতন ,কথায় কথায় খোটা দেয়া ,বাপ মা পারিবারিক স্টেটাস নিয়ে কথা বলা। এ অত্যাচার সইতে না পেরে মেয়েরা আত্ম হত্যার পথ বেছে নেয়। কেউবা আবার জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ,ফাঁসিতে ঝুলিয়ে,বালিশ চাপা দিয়ে খুন ও করে অসহায় মেয়েকে। সমাজের এই ব্যাধি দূর করতে প্রয়োজন সামাজিক আন্দোলন। প্রয়োজন পৃষ্টপোষকতা। এ দায়বদ্ধতা সবার ,শিল্প পতি ,সমাজ পতি , প্রবাসী,কবি ,লেখক,সাংবাদিক ,শিক্ষক,পেশাজীবী ,ছাত্র-ছাত্রী ,তরুণ সমাজ সহ সবাইকে কে এগিয়ে আসতে হবে। সভা ,সেমিনার ,টক শো করতে হবে .পাঠ্য পুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে যৌতুকের কুফলতা সম্পর্কে, সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। সচেতনতা বৃদ্ধি গড়ে তুলবে প্রতিরোধ। পাড়ায় ,মহল্লায়, ইউনিয়ন,থানা ,উপজেলা,জিলা,বিভাগীয়,প্রবাসের যেখানেই বাংলাদেশী সেখানেই কমিটি করে সচেতনতা সৃষ্টির প্রচারণা চালাতে হবে.স্কুল,কলেজে ,বিশ্ব বিদ্যালয়ে বিতর্ক প্রতিযোগিতা,রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করতে হবে, র্যালি মানব বন্ধন করতে হবে .একদিনে,এক মাসে ,একবছরে দীর্ঘ দিনের পুরানো ক্ষত শুকাবে না। ক্যান্সারের ,ডায়াবেটিকস এর উত্পাটন যেমন সম্ভব নয় ,কমানো সম্ভব,প্রতিরোধ সম্ভব।তেমনি যৌতুক প্রতিরোধের ক্ষেত্রে ও, সময় নেবে। এইতো সে দিন মুখের উপর এক জন বিশিষ্ট কবি,লেখক বলে দিলেন কিচ্ছু হবে না ,আমি বললাম কেন ?জবাব দিলেন এখানে বিনোদন নেই,অর্থ যোগ নেই, বিয়োগ আছে ,তাই। আমি বললাম আমি সমূলে শেষ করতে আসিনি ,কমাতে এসেছি,চেষ্টা করি। আমাদের এই সংগঠনের প্রচারনায়,উদ্যোগে যদি একটি বিয়ে যৌতুক বিহীন হয় ,এক জন বোন্ পান যৌতুকের বলি থেকে রেহাই ,তবেই আমাদের কষ্ট সার্থক।যুগের পরিবর্তন হয়েছে পায়রা থেকে ডাক হরকরা,এস এম এস থেকে ই মেইল ,আজকের যুগে সরাসরি কথা বলা,ডেইলি সোপের চেয়ে ইফেক্টিভ ফেস বুক, তাই আমাদের ও আধুনিক উপায়ে কাজ করতে হবে.এক জন বেল্লাল সাহেবের পক্ষে এত দূর যাওয়া কষ্ট কর.মসজিদের ইমাম ,শিক্ষক ,সাংবাদিক ,অভিভাবক গণ অতি সহজে তাদের কাজের মাধ্যমে সহযোগিতার হাত বাড়াতে পারেন। ফতেহ পুরের এক এতিম খানার অফিস থেকে এর যাত্রা শুরু ,হওয়ায় ভেসে এসেছে সিঙ্গাপুর। হয়েছে সিঙ্গাপুর শাখা ,তেমনি সারা বাংলাদেশ এবছর বারো বছর পূর্তি অনুষ্ঠানের পূর্বে কমিটি গঠিত হবে।

হবে না বলে বসে থাকার চেয়ে চেষ্টা করতে হবে.এগিয়ে আসতে হবে বিবেকের দায়বদ্ধতা থেকে। আপনার এলাকায় আপনি শুরু করতে পারেন। আমরা আছি আপনাদের পাশে,বাংলাদেশের এক জপদ নোয়াখালীর সেনবাগ ফতেহ পুর এতিম খানা মাদ্রসা থেকে জনাব বেল্লাল সাহেবের মাধ্যমে এক যুগ পূর্বে এর যাত্রা শুরু। প্রবাসী ভাইয়েরা নিঃ সন্দেহে পরিবারের অভিভাবক তারা ইচ্ছে করলেই তাদের পরিবারকে সচেতন করতে পারেন। দেশে ভাইয়েরা কমিটি করে আপনারা আপনার এলাকায় কাজ করতে পারেন। নষ্ট সমাজ বলি অনেকেই ,আসলে সমাজকে নষ্ট করি আমরাই। তাই একটি ভালো কাজ করি। আসুন ,সকলের প্রতি উদার্ত আহ্বান যার যার এলাকায় কমিটি করি। কমিটির সদস্যরা সচেতন হই। অপরকে সচেতন করি। রেজিস্ট্রেশন এর কাজ পক্রিয়াধীন। যৌতুক প্রতিরোধ আন্দোলন বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় কমিটির নীতিমালা উদ্দেশ্য মেনে চলি। যৌতুক কে না বলি।
আমার ফেসবুকে আপনার কমিটি আমাকে ইন বক্স করতে পারেন। মনে রাখবেন যৌতুক প্রতিরোধ আন্দোলন বাংলাদেশ একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। ই-মেইল-babumunny@gmail.com, zimasum.masum@gmail.com
এ ছাড়াও কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক জনাব বেল্লাল হোসেন ফতেহ পুরী ,যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ফেনীর সময় সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলম ,কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ,ব্রাইট জেনারেশন প্রপার্টিজ লিমিটেড সন্মানিত ম্যানেজিং ডিরেক্টর জনাব জাহিদুল ইসলাম মাছুম কে ইন বক্স করতে পারেন।

বিগত বারো বছরে দেশের অনেক জ্ঞানী গুনি শিক্ষিত সমাজ ,ব্যবসায়ী ,ইমাম ,মাওলানা ,মুফাচ্ছের,কলেজের শিক্ষক,সাংবাদিক সহ নানা পেশা জীবী সদস্য হিসাবে আছেন কেন্দ্রীয় কমিটিতে। বারো বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে সকলেই সমবেত হবেন সেই সাথে নতুন কমিটির সদস্যরাও পরিচিত হবেন।বছরের সকল কমিটি সম্পন্ন হলে এলাকা ভিত্তিক সফর,শোভাযাত্রা সেমিনার,মানব বন্ধন হবে প্রতিটি কমিটির এলাকায়।দেশে -বিদেশে যৌতুক প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধি আমাদের লক্ষ্য। প্রচারেই প্রসার। সচেতনতা হবে প্রচারে আর এই " সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে গড়ে তুলবো প্রতিরোধ ".থাকুন আমাদের সাথে।

শুভেচ্ছান্তে

মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বাবু ,
সভাপতি যৌতুক প্রতিরোধ আন্দোলন বাংলাদেশ
সিঙ্গাপুর শাখা।

http://youtu.be/xVp4MMURfsk

Published on 6 Jan 2015
সচেতনতা বৃদ্ধি গড়ে তুলবে প্রতিরোধ।
যৌতুক একটি সামাজিক ব্যাধি। বাংলাদেশে যৌতুকের লালসার শিকার হয়ে অকালে প্রাণ দেয় নারী। ২০০৩ সালে জনাব বেল্লাল হোসেন ফতেহ পুরীর উদ্যোগে যাত্রা শুরু "যৌতুক প্রতিরোধ আন্দোলন বাংলাদেশ " নামে এই সংগঠনের।আপনার এলাকায় আপনি শুরু করতে পারেন। আমরা আছি আপনাদের পাশে,বাংলাদেশের এক জপদ নোয়াখালীর সেনবাগ ফতেহ পুর এতিম খানা মাদ্রসা থেকে জনাব বেল্লাল সাহেবের মাধ্যমে এক যুগ পূর্বে এর যাত্রা শুরু। প্রবাসী ভাইয়েরা নিঃ সন্দেহে পরিবারের অভিভাবক তারা ইচ্ছে করলেই তাদের পরিবারকে সচেতন করতে পারেন। দেশে ভাইয়েরা কমিটি করে আপনারা আপনার এলাকায় কাজ করতে পারেন। নষ্ট সমাজ বলি অনেকেই ,আসলে সমাজকে নষ্ট করি আমরাই। তাই একটি ভালো কাজ করি। আসুন ,সকলের প্রতি উদার্ত আহ্বান যার যার এলাকায় কমিটি করি। কমিটির সদস্যরা সচেতন হই। অপরকে সচেতন করি। রেজিস্ট্রেশন এর কাজ পক্রিয়াধীন। যৌতুক প্রতিরোধ আন্দোলন বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় কমিটির নীতিমালা উদ্দেশ্য মেনে চলি। যৌতুক কে না বলি। দেশে -বিদেশে যৌতুক প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধি আমাদের লক্ষ্য। প্রচারেই প্রসার। সচেতনতা হবে প্রচারে আর এই " সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে গড়ে তুলবো প্রতিরোধ ".থাকুন আমাদের সাথে।

শুভেচ্ছান্তে

মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বাবু ,
সভাপতি যৌতুক প্রতিরোধ আন্দোলন বাংলাদেশ
সিঙ্গাপুর শাখা।










মোহাম্মাদ ইব্রাহীম মুন্সী
7 hrs ·
২০১৫ এই বছরে আমার যৌতুক বিরোধী আন্দোলন,আমার বা আমাদের স্লোগান হবে এমনঃ-
বিয়ের জন্য পাত্র পাত্রী চাই
যৌতুক কিংবা নিয়ম নাই,
পাত্রীর বয়স হবে আঠারো,
পাত্রের বয়স বাইশ,
এর নিছে বিয়ে হলে দুই জনের সর্বনাশ,
সন্তান নিবে বিশের পর,
তাহলে গড়বে দুইজনের সুখের ঘর l
........................................................দেশে যৌতুকের কারণে নারী নির্যাতনের হার বেড়েছে আশঙ্কাজনকভাবে। গত এক বছরে প্রায় ১শ নারী যৌতুকের দাবি না মেটাতে পেরে প্রাণ হারিয়েছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পারিবারিক নির্যাতনের অন্যতম কারণ যৌতুক। প্রতিনিয়ত দেশের অনেক মেয়েই যৌতুকের কারণে নির্যাতনের শিকার হচ্ছে, প্রাণ দিচ্ছে অসহায়ভাবে। দেশে যৌতুক নিরোধ আইন ১৯৮০ (সংশোধিত) থাকলেও তা মূলত কাজে আসছে না।সমাজ বিজ্ঞানীরা বলছেন, পারিবারিক নির্যাতনের বিভিন্ন কারণের মধ্যে অন্যতম যৌতুক। এ কারণে দেশে বর্তমানে পারিবারিক নির্যাতনের মাত্রা অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। এই নির্যাতনে প্রতি বছর অসংখ্য নারীর মৃত্যু ঘটছে। যৌতুকের দাবি মেটাতে না পেরে বহু নারী দুর্বিষহ জীবন কাটাচ্ছে।
বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা বিকশিত বাংলাদেশ’এর সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, গত এক বছরে ১ হাজার ১০৯টি নির্যাতনের ঘটনায় ৭শ ৭২জন নারী নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ১শ জনের মৃত্যু ঘটেছে যৌতুকের কারণে। ব্যুরো অব হিউম্যান রাইটস বাংলাদেশ ১ হাজার ১২০জন নির্যাতিতা নারীর আত্মহত্যার ঘটনা রেকর্ড করেছে। এই আত্নহত্যার অধিকাংশই ঘটেছে যৌতুকের জন্য নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে। মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা (মানবাধিকা) জানিয়েছে, গত এক মাসে দেশের বিভিন্ন স্থানে যৌতুকের বলি হয়েছে কমপক্ষে ৬০ নারী। মারাত্নক নির্যাতনের শিকার হয়েছে ১৫ জনের বেশি নারী। এর জন্য আমি মনে করি যৌতুক বিরোধী আন্দোলনে আমরা পুরুষেরা সক্রিয় হওয়ার প্রয়োজন, আমাদের সচেতনতা বৃদ্ধি ও মেয়েদের স্বাবলম্বী হওয়ার সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি i
২০১৫ এই বছরে আমার যৌতুক বিরোধী আন্দোলন,আমার বা আমাদের স্লোগান হবে এমনঃ-
বিয়ের জন্য পাত্র পাত্রী চাই
যৌতুক কিংবা নিয়ম নাই,
পাত্রীর বয়স হবে আঠারো,
পাত্রের বয়স বাইশ,
এর নিছে বিয়ে হলে দুই জনের সর্বনাশ,
সন্তান নিবে বিশের পর,
তাহলে গড়বে দুইজনের সুখের ঘর l
........................................................দেশে যৌতুকের কারণে নারী নির্যাতনের হার বেড়েছে আশঙ্কাজনকভাবে। গত এক বছরে প্রায় ১শ নারী যৌতুকের দাবি না মেটাতে পেরে প্রাণ হারিয়েছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পারিবারিক নির্যাতনের অন্যতম কারণ যৌতুক। প্রতিনিয়ত দেশের অনেক মেয়েই যৌতুকের কারণে নির্যাতনের শিকার হচ্ছে, প্রাণ দিচ্ছে অসহায়ভাবে। দেশে যৌতুক নিরোধ আইন ১৯৮০ (সংশোধিত) থাকলেও তা মূলত কাজে আসছে না।সমাজ বিজ্ঞানীরা বলছেন, পারিবারিক নির্যাতনের বিভিন্ন কারণের মধ্যে অন্যতম যৌতুক। এ কারণে দেশে বর্তমানে পারিবারিক নির্যাতনের মাত্রা অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। এই নির্যাতনে প্রতি বছর অসংখ্য নারীর মৃত্যু ঘটছে। যৌতুকের দাবি মেটাতে না পেরে বহু নারী দুর্বিষহ জীবন কাটাচ্ছে।
বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা বিকশিত বাংলাদেশ’এর সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, গত এক বছরে ১ হাজার ১০৯টি নির্যাতনের ঘটনায় ৭শ ৭২জন নারী নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ১শ জনের মৃত্যু ঘটেছে যৌতুকের কারণে। ব্যুরো অব হিউম্যান রাইটস বাংলাদেশ ১ হাজার ১২০জন নির্যাতিতা নারীর আত্মহত্যার ঘটনা রেকর্ড করেছে। এই আত্নহত্যার অধিকাংশই ঘটেছে যৌতুকের জন্য নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে। মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা (মানবাধিকা) জানিয়েছে, গত এক মাসে দেশের বিভিন্ন স্থানে যৌতুকের বলি হয়েছে কমপক্ষে ৬০ নারী। মারাত্নক নির্যাতনের শিকার হয়েছে ১৫ জনের বেশি নারী। এর জন্য আমি মনে করি যৌতুক বিরোধী আন্দোলনে আমরা পুরুষেরা সক্রিয় হওয়ার প্রয়োজন, আমাদের সচেতনতা বৃদ্ধি ও মেয়েদের স্বাবলম্বী হওয়ার সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি i
Like · · Share




কবিতায় নাটিকা-যৌতুক প্রতিরোধ আন্দোলন। 

রচনা- মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বাবু

প্রথম দৃশ্য - অঙ্ক-১

ঘটক: ওরে ও কুলসুমের মা ,মাইয়া তো বড় হইছে বিয়া কি দিবা না ?

জরিনা : কি বলেন পড়ে সবে এইটে বিয়ে আমি দেব না
মা হয়ে মেয়ের সর্বনাশ আমি করবো না। যাও ,যাও অন্য কোথাও।
ঘটক : বুজছি কিচ্ছু হবে না এখানে , মগাটাকেই ধরতে হবে।

প্রথম দৃশ্য - অঙ্ক-২

ঘটক : মাইয়া বড় হইছে ,সেয়ানা হইছে ,লোকে কত কিছু বলে
বলি ,ওহে গফুর মেয়ের বিয়ে দিবে কবে ?

গফুর : কি জানি বাপু ,কি যে করি ,
মেয়ে বলে লেখা পড়া করবে
মাষ্টার নয় ডাক্তার হবে.

ঘটক : হি: হি: কি বললে গফুর ,তুমি এক ফতুর
মেয়ে হবে মাস্টার নয়তো ডাক্তার ,হাসলে হাসলে।

গফুর : আমি কি যে করি হাতে নাই পয়সা কড়ি ,

ঘটক : দেখো ভায়া বলি তোমায় ,এমন ছেলে নাই দুনিয়ায়
তেমন কিছু লাগবে না। দেখো ভেবে মেয়ে তোমার সেয়ানা
দেখতে নয় তেমন কিছু ,একবার যদি সুযোগ যায়
বলে দিলাম করবে পরে হায় ,হায়।

গফুর : ছেলে কে জানতে পারি ,আছে কেমন পয়সা কড়ি

ঘটক: হে :হে : পাশের গ্রামের নজর মিয়া , প্রায়শই থাকে বিদেশ গিয়া
আমদানি রফতানির কাজ কারবার ,হৃষ্ট পুষ্ট জোয়ান ,দেখতে চমত্কার।

গফুর: কি যে করি ,ঘটক মুন্সী ভাই ,দেখি বাড়ি যাই ,বাড়ি ওয়ালী মাইয়ার মে কি বলে।

ঘটক : যাও যাও গফুর করবো নাকো সবুর ,হাতে আছে ওনেক মাইয়া ,সাথে টাকা কড়ি গয়না।

গফুর : ঠিক আছে দেখি ভাবিয়া।

ঘটক : আরে আরে কই যাও ,চা নাস্তার টাকা দাও

গফুর : আরে মুন্সী অভ্যাস গেলো না , এই আছেই পকেটে টাকা বিষ .

ঘটক: আপাতত এটাই আমার বউনি ,একেবারে কিসমিস।

দ্বিতীয় দৃশ্য-অঙ্ক-১

গফুর: কি গেলা কুলসুমের মা হইয়া গেল ঝামেলা

জরিনা: কে গো কুলসুমের বাপ ,কিসের ঝামেলা ?

গফুর:ঘটক আসছিলো ,কুলসুমের বিয়া নিয়া

জরিনা: না না আমি এ বয়সে মাইয়ারে দিমু না বিয়া ,আমার বাপে করছে ভুল
অল্প বয়সে দিসিলো বিয়া ,ক্লান্ত আমি ,বছর বছর বাচ্চা জন্ম দিয়া ,
বাঁচলো শুধু একটা,কুলসুম আমার একমাত্র বেছে থাকা আদরের মাইয়া ,
তারে আমি দিমু না বিয়া।
মাইয়াগো পড়া লেখা দরকার
মাইয়া আমার হইবো ডাক্তার নয়তো মাস্টার।

দ্বিতীয় দৃশ্য-অঙ্ক-২

ঘটক: ওহহ ওহঃ বাড়ি আছ্ নাকি গফুর মিয়া ,
বাজারে শুনলাম কথা হচ্ছে মাইয়া নিয়া –

জরিনা ও গফুর: কি , কথা, কি কথা

ঘটক: কুলসুমের দিকে নজর দিছে মাতবরের বেটা।
মাতবর নাকি তোমার কাছে পাবে অনেক টাকা।
ভিটে বাড়ি বন্ধক আছে ,তাতো আমারে বলো নাই মিয়া।
মাতবরের বেটা তাড়ি খায় পথে ঘটে
উঁকি মারে পুকুর ঘটে ,মেয়ে দেখলেই করে ইয়ার্কি ।

জরিনা ও গফুর: কি করি ঘটক বুদ্ধি দিতে পারকি?

ঘটক : একটা বুদ্ধি দিতে পারি ,কুলসুমের বিয়ে দাও তাড়া তাড়ি।
গফুর ও জরিনা: রাজি আমরা রাজি।

ঘটক : ঠিক আছে ,ঠিক আছে ,আমি আনি বর তুমি আনো কাজী।

তৃতীয় দৃশ্য-

(বিয়ের কয়েক মাস পর )

নজর মিয়া: ওই তোর্ তো বড় বেইমান ,
বিয়ার আসর থেইকা উঠতে চাইলাম ,ধরলো আমার হাত ,
বলল বাবা রাজু মোটর সাইকেল দিমু তোমারে ,
এই বয়সে কইরোনা বরবাদ ,
মান ইজ্জত যে টুকু আছে ,রাখতে আমায় দাও ,
বাড়ি বিক্রি করে আমি দেব,যা তুমি চাও।

কুলসুম: ঘটক নাকি বলছে বাবারে ,
বিশাল কারবার তোমার দেশে-বিদেশে ,
এখন দেখি ঘুমাও শুধু নাক ডেকে।
পড়তে আমায় দিলো না ,স্বপ্ন পূরণ হলো না,
বাপ আমার গরিব আছে
মোটর সাইকেল দিবে কিভাবে । বাপ আমার কষ্টে আছে ,
ভিটা মাটি সব গেছে ,গরীব আমরা, যা হবার তা হয়েছে
কাজ করো ,ডাল ভাতে থাকবো সুখে।

নজর: তুই আমরে জ্ঞান দেস ,এতো বড় সাহস ,
আছে তোর্ আছে, খবর ,আইজ তোরে দেবো কবর।
আইজ যাবি বাপের বাড়ি ,
মোটর সাইকেল নয়তো টাকা নিয়া আসবি।

চতুর্থ দৃশ্য- অঙ্ক ১

কুলসুম : মা মা

জরিনা: ওরে আমার মা কুলসুম ,এ কি তোর্ একই অবস্থা মা ,জামাই কই

কুলসুম : মা বাবা কই ,

জরিনা : ঘরে , অসুখে এই বুঝি দুনিয়া ছাড়ে।

(ঘরে ভিতর থেকে গফুরের আওয়াজ )

গফুর : মা আমরে ক্ষমা করিস মা ,আমি ভুল করেছি তোকে বিয়ে দিয়ে ,
খবর পেয়েছি প্রতিদিন আছিস অত্যচারে।

জরিনা: কি ওই হারামি আমার মেয়েরে মারে ,কেনো বলোনি আমায় আগে।

গফুর: কষ্ট পাবে বলে বলিনি ,ক্ষমা করো মোরে।

চতুর্থ দৃশ্য- অঙ্ক ২

নজর : কুলসুম কুলসুম কোথায় গেলে ?

জরিনা: কি গো বাবাজি শুনলাম

নজর : আম্মা মেয়ে আপনার করে দুষ্টামি ,
হাসতে বললাম ,বাবা বলেছিলো দিবে মোটর সাইকেল
এখন দেখি কয়দিন পর পর পাঠায় নারিকেল।
না দিলে হুন্ডা লেলিয়ে দিবো গুন্ডা। ব্যাবসা আমার মন্দ
তাই সকাল বিকাল স্বামী স্ত্রীর সামান্য দন্ধ। বাদ দেন ,ওরে ডাক দেন।

জরিনা: কইরে মা ,জামাই আসছে নিতে রাগ করে না।

কুলসুম: না আমি যাবো না ,না খেয়ে পড়ে থাকবো ,
তোমাদের দুয়ারে, আমি যাবো না।

নজর: ওরে লক্ষী সোনা রাগ করে না ,চলো চলো।

কুলসুম : মা যখন তখন ও আমারে ,
সইতে নাহি পারি . ছিঁড়ে যায় নাড়ি ভুড়ি.

জরিনা:শুরুতে কষ্ট হয় ,সইতে হয় ,
আমরা জাতে নরী.যা মা যা

কুলসুম: আমি আমি এবার আসি।

পঞ্চম দৃশ্য- অঙ্ক-১

নজর: আসলি খালি হাতে ,তোরে আমার নাইরে
তুই থাকলে করতে পারবো না আরেকটা বিয়া
তোরে জালাবো আমি কেরোসিন দিয়া .
কুলসুম: আমারে নিয়া আসলা আদর যতন করি
এখন তুমি কি শোনাও ,পাগল হইলা নাকি।

পঞ্চম দৃশ্য- অঙ্ক-২

কুলসুম:কি করো করো ,ক্ষমা কর ছেড়ে দাও আমারে।
বিয়া করো ,যা খুশি করো মেরো না আমারে।
মা মা ,বাবা ,বাবা বাঁচাও না মোরে।

ছষ্ঠ দৃশ্য -

ভিখারী: কই গেলা কুলসুমের মা ,কুলসুমের বাপ ,
শুনছ নাকি তোমারা কাছে আসো ,খবর বড়ই জরুরী।

জরিনা ও গফুর : কি হইছে ,কি হইছে বলগো তাড়া তাড়ি.

ভিখারী: কুলসুম আছে হাসপাতালে , জামাই তোমাগো আগুনে পোড়াইছে তারে .

জরিনা ও গফুর : ওরে আল্লাহ একি হইলো ,একি হইলো বাচাঁও আমার মেয়েরে.

গ্রামের ছেলে: গফুর চাচা গফুর চাচা ,কুলসুম বেচে নাই চলে গেছে পরপারে।

জরিনা ও গফুর : সব দোষ আমার ,না বুঝে ঘটকের কথায় দিসিলাম বিয়া
মেয়ে আমার যৌতুকে বলি হইলো আগুনে পুড়িয়া।

গ্রামের ছেলে: এই ভাবে আর কতকাল অকালে দিবে প্রাণ সকিনা কুলসুম
করতে হবে প্রতিবাদ , দেশ,সমাজ , রুখতে হবে জুলুম
শোনেন ভাই বন্ধু গণ হতে হবে সচেতন
আসুন সবাই মিলে সফল করি ,"যৌতুক প্রতিরোধ আন্দোলন।"

২৪-১-২০১৫ ইং।





















No comments:

Post a Comment