যৌতুকের নির্মম বলী
সানজিদা আকতার (সানজু)
সানজিদা আকতার (সানজু)
ছোট্ট একটা সংসার,
টেনেটুনে চলছে কোনোমতে,
একমাত্র আদরের মেয়ে ঝুমঝুমি।
চেহারাটা একটু কালো কিন্তু বিদ্বান বটে,
চোখজোড়া মায়াবী কিন্তু
একটু খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটে।
পড়ালেখা করছে গ্রামের স্কুলে,
মক্তবে শিখছে কোরআনের আমপারা।
চোখের সামনে বেড়ে উঠছে লাউয়ের ডগার মত!
বাবার চিন্তা হচ্ছে ঝুমকে নিয়ে,
কিভাবে ওকে দিবে বিয়ে,
কিভাবো ও সুখি হবে স্বামী -সন্তান নিয়ে!
দিন যায়, মাস যায়, চিন্তা আরো বাড়ে,
বিয়ের সম্বন্ধ আসে, বিয়ে ঠিক হয়,
চলে যাবে শ্বশুরের ঘরে।
পাশের বাড়ির রাহুল,দেখতে যেনো রাজপুত,
মোটা টাকার বিনিময়ে বিয়েতে রাজি হয়।
অনেক চিন্তার পরে-
বাবা রাজি হয়ে বিয়ে দেন রাহুলের ঘরে।
একটাই তো মেয়ে!
কিছুদিন যেতে না যেতেই আবার টাকার চাপ,
কি করে সামলাবে এখন ঝুমঝুমির বাপ!
টাকা জোগার হয়না কোনো কারন,
ঝুমের উপর নেমে আসে অমানুষিক নির্যাতন!
অত্যাচার সইতে না পেরে ঝুমঝুমি আত্মহত্যা করে তখন!
কিন্তু কেনো?
ঝুম মেয়ে বলে?ঝুম কালো বলে?
মেয়ে বলে কি আমরা মানুষই না,
নেই কি স্বাধীনতা?
নেই কি বেঁচে থাকার অধিকার?
অধীকার নেই কি স্বামীর সাথে সংসার করার!
তাহলে কেনো এ দ্বিত্ব অধিকার?
যখন ছেলে -মেয়ে নেই কোনো ভেদাভেদ,
তবে মেয়ের বাবা কেনো সইবে যৌতুকের দায়,
কেনো যৌতুকের দায়ে জীবন দিবে ঝুমঝুমি?
আমরাই তো জন্ম দিয়েছি ঝুমদের,
শিক্ষিত করেছি পাষন্ড রাহুলদের,
তবে কেনো একা খেসারত দিবে ঝুমের বাবা?
যৌতুকের নির্মম বলী হবে শুধু ঝুমঝুমিরা?
আমরা তো সবাই একই সমাজের!
( আসুন আমরা সামাজিক সচেতনতার মাধ্যমে রাহুলদের হাত থেকে ঝুমঝুমিদের রক্ষা করি)
২রা জানুয়ারি '২০১৫ ইং।
টেনেটুনে চলছে কোনোমতে,
একমাত্র আদরের মেয়ে ঝুমঝুমি।
চেহারাটা একটু কালো কিন্তু বিদ্বান বটে,
চোখজোড়া মায়াবী কিন্তু
একটু খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটে।
পড়ালেখা করছে গ্রামের স্কুলে,
মক্তবে শিখছে কোরআনের আমপারা।
চোখের সামনে বেড়ে উঠছে লাউয়ের ডগার মত!
বাবার চিন্তা হচ্ছে ঝুমকে নিয়ে,
কিভাবে ওকে দিবে বিয়ে,
কিভাবো ও সুখি হবে স্বামী -সন্তান নিয়ে!
দিন যায়, মাস যায়, চিন্তা আরো বাড়ে,
বিয়ের সম্বন্ধ আসে, বিয়ে ঠিক হয়,
চলে যাবে শ্বশুরের ঘরে।
পাশের বাড়ির রাহুল,দেখতে যেনো রাজপুত,
মোটা টাকার বিনিময়ে বিয়েতে রাজি হয়।
অনেক চিন্তার পরে-
বাবা রাজি হয়ে বিয়ে দেন রাহুলের ঘরে।
একটাই তো মেয়ে!
কিছুদিন যেতে না যেতেই আবার টাকার চাপ,
কি করে সামলাবে এখন ঝুমঝুমির বাপ!
টাকা জোগার হয়না কোনো কারন,
ঝুমের উপর নেমে আসে অমানুষিক নির্যাতন!
অত্যাচার সইতে না পেরে ঝুমঝুমি আত্মহত্যা করে তখন!
কিন্তু কেনো?
ঝুম মেয়ে বলে?ঝুম কালো বলে?
মেয়ে বলে কি আমরা মানুষই না,
নেই কি স্বাধীনতা?
নেই কি বেঁচে থাকার অধিকার?
অধীকার নেই কি স্বামীর সাথে সংসার করার!
তাহলে কেনো এ দ্বিত্ব অধিকার?
যখন ছেলে -মেয়ে নেই কোনো ভেদাভেদ,
তবে মেয়ের বাবা কেনো সইবে যৌতুকের দায়,
কেনো যৌতুকের দায়ে জীবন দিবে ঝুমঝুমি?
আমরাই তো জন্ম দিয়েছি ঝুমদের,
শিক্ষিত করেছি পাষন্ড রাহুলদের,
তবে কেনো একা খেসারত দিবে ঝুমের বাবা?
যৌতুকের নির্মম বলী হবে শুধু ঝুমঝুমিরা?
আমরা তো সবাই একই সমাজের!
( আসুন আমরা সামাজিক সচেতনতার মাধ্যমে রাহুলদের হাত থেকে ঝুমঝুমিদের রক্ষা করি)
২রা জানুয়ারি '২০১৫ ইং।
No comments:
Post a Comment