Anti Dowry movement Bangladesh ,president Singapore branch.blog,join with us from any where all over the world.
সচেতনতা
বৃদ্ধি গড়ে তুলবে প্রতিরোধ।
যৌতুক
একটি সামাজিক ব্যাধি। বাংলাদেশে যৌতুকের লালসার শিকার হয়ে
অকালে প্রাণ দেয় নারী। ২০০৩
সালে জনাব বেল্লাল
হোসেন ফতেহ পুরীর উদ্যোগে
যাত্রা শুরু "যৌতুক প্রতিরোধ আন্দোলন
বাংলাদেশ " নামে এই সংগঠনের। যৌতুকের
প্রধান আক্রমনের শিকার হত
দরিদ্র ,নিন্ম বিত্ত ,মধ্য
বিত্ত পরিবারে। অশিক্ষা,ধর্মান্ধতা,বেকারত্ব ,লোভ,হীন মন্যতা
,কৃপনতা,সন্তানের জন্য ব্যয় কৃত
অর্র্থ পুষিয়ে নেয়ার প্রবণতা
থেকে যৌতুকের সৃষ্টি। মানব
সভ্যতার আদি থেকে
উপঢউকনের প্রচলন ছিলো।
কালের বিবর্তনে রূপ পাল্টে আজ
এসেছে " কন্যা পক্ষ যা
দেয় " শিরোনামে। উপযুক্ত
ছেলে সন্মান রাখবেন ইত্যাদি
ইত্যাদি। কন্যা
দায় গ্রস্থ পিতা -মাতা
বুঝেন এর কষ্ট।
অনেক ক্ষেত্রে গায়ের রং ,বর্ণ
,আচরন,দৈহিক গঠনও যৌতুকের
উপাদান হিসাবে কাজ করে.বিয়ের পূর্বে অনেকে
কথা দিয়ে কথা রাখতে
পারেন না। শুরু
হয় শশুরালয়ের অত্যাচার , মানসিক নির্যাতন ,কথায়
কথায় খোটা দেয়া
,বাপ মা পারিবারিক স্টেটাস
নিয়ে কথা বলা।
এ অত্যাচার
সইতে না পেরে মেয়েরা
আত্ম হত্যার পথ বেছে
নেয়। কেউবা
আবার জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ,ফাঁসিতে ঝুলিয়ে,বালিশ চাপা
দিয়ে খুন ও করে
অসহায় মেয়েকে। সমাজের
এই ব্যাধি দূর করতে
প্রয়োজন সামাজিক আন্দোলন। প্রয়োজন
পৃষ্টপোষকতা। এ
দায়বদ্ধতা সবার ,শিল্প পতি
,সমাজ পতি , প্রবাসী,কবি
,লেখক,সাংবাদিক ,শিক্ষক,পেশাজীবী ,ছাত্র-ছাত্রী ,তরুণ সমাজ সহ
সবাইকে কে
এগিয়ে আসতে হবে।
সভা ,সেমিনার ,টক শো করতে হবে .পাঠ্য
পুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে যৌতুকের
কুফলতা সম্পর্কে, সচেতনতা
বৃদ্ধি করতে হবে।
সচেতনতা বৃদ্ধি গড়ে তুলবে
প্রতিরোধ।
পাড়ায় ,মহল্লায়, ইউনিয়ন,থানা ,উপজেলা,জিলা,বিভাগীয়,প্রবাসের
যেখানেই বাংলাদেশী সেখানেই কমিটি করে সচেতনতা
সৃষ্টির প্রচারণা চালাতে হবে.স্কুল,কলেজে ,বিশ্ব বিদ্যালয়ে
বিতর্ক প্রতিযোগিতা,রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন
করতে হবে, র্যালি মানব
বন্ধন করতে হবে .একদিনে,এক মাসে ,একবছরে
দীর্ঘ দিনের পুরানো ক্ষত
শুকাবে না। ক্যান্সারের ,ডায়াবেটিকস
এর উত্পাটন যেমন সম্ভব নয়
,কমানো সম্ভব,প্রতিরোধ সম্ভব।তেমনি যৌতুক প্রতিরোধের ক্ষেত্রে ও, সময় নেবে। এইতো
সে দিন মুখের উপর
এক জন বিশিষ্ট
কবি,লেখক বলে দিলেন
কিচ্ছু হবে না ,আমি
বললাম কেন ?জবাব দিলেন
এখানে বিনোদন নেই,অর্থ
যোগ নেই, বিয়োগ আছে
,তাই। আমি
বললাম আমি সমূলে শেষ
করতে আসিনি ,কমাতে এসেছি,চেষ্টা করি।
আমাদের এই সংগঠনের প্রচারনায়,উদ্যোগে যদি একটি বিয়ে
যৌতুক বিহীন হয় ,এক
জন বোন্ পান যৌতুকের
বলি থেকে রেহাই ,তবেই
আমাদের কষ্ট সার্থক।যুগের
পরিবর্তন হয়েছে পায়রা থেকে
ডাক হরকরা,এস এম
এস থেকে ই মেইল
,আজকের যুগে সরাসরি কথা
বলা,ডেইলি সোপের চেয়ে
ইফেক্টিভ ফেস বুক, তাই
আমাদের ও আধুনিক উপায়ে
কাজ করতে হবে.এক
জন বেল্লাল সাহেবের পক্ষে এত দূর
যাওয়া কষ্ট কর.মসজিদের
ইমাম ,শিক্ষক ,সাংবাদিক ,অভিভাবক গণ অতি সহজে
তাদের কাজের মাধ্যমে সহযোগিতার
হাত বাড়াতে পারেন।
ফতেহ পুরের এক এতিম
খানার অফিস থেকে এর
যাত্রা শুরু ,হওয়ায় ভেসে
এসেছে সিঙ্গাপুর। হয়েছে
সিঙ্গাপুর শাখা ,তেমনি সারা
বাংলাদেশ এবছর বারো বছর
পূর্তি অনুষ্ঠানের পূর্বে কমিটি গঠিত
হবে।
হবে না বলে বসে থাকার চেয়ে চেষ্টা করতে হবে.এগিয়ে আসতে
হবে বিবেকের দায়বদ্ধতা থেকে। আপনার এলাকায় আপনি শুরু করতে পারেন। আমরা আছি আপনাদের
পাশে,বাংলাদেশের এক জপদ নোয়াখালীর সেনবাগ ফতেহ পুর এতিম খানা মাদ্রসা থেকে জনাব বেল্লাল
সাহেবের মাধ্যমে এক যুগ পূর্বে এর যাত্রা
শুরু। প্রবাসী ভাইয়েরা
নিঃ সন্দেহে পরিবারের অভিভাবক তারা ইচ্ছে করলেই
তাদের পরিবারকে সচেতন করতে পারেন। দেশে
ভাইয়েরা কমিটি করে আপনারা
আপনার এলাকায় কাজ করতে
পারেন। নষ্ট
সমাজ বলি অনেকেই ,আসলে
সমাজকে নষ্ট করি আমরাই। তাই
একটি ভালো কাজ করি। আসুন
,সকলের প্রতি উদার্ত আহ্বান
যার যার এলাকায় কমিটি
করি। কমিটির
সদস্যরা সচেতন হই।
অপরকে সচেতন করি। রেজিস্ট্রেশন এর
কাজ পক্রিয়াধীন। যৌতুক
প্রতিরোধ আন্দোলন বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় কমিটির
নীতিমালা উদ্দেশ্য মেনে চলি।
যৌতুক কে না বলি।
আমার
ফেসবুকে আপনার কমিটি আমাকে ইন বক্স
করতে পারেন। মনে
রাখবেন যৌতুক প্রতিরোধ আন্দোলন
বাংলাদেশ একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। ই-মেইল-babumunny@gmail.com, zimasum.masum@gmail.com
এ
ছাড়াও কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক
জনাব বেল্লাল হোসেন ফতেহ পুরী
,যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ফেনীর
সময় সাংবাদিক
জাহাঙ্গীর আলম ,কেন্দ্রীয় কমিটির
সাংগঠনিক সম্পাদক ,ব্রাইট জেনারেশন প্রপার্টিজ
লিমিটেড সন্মানিত ম্যানেজিং ডিরেক্টর জনাব জাহিদুল ইসলাম
মাছুম কে ইন বক্স
করতে পারেন।
বিগত
বারো বছরে দেশের অনেক
জ্ঞানী গুনি শিক্ষিত সমাজ
,ব্যবসায়ী ,ইমাম ,মাওলানা ,মুফাচ্ছের,কলেজের শিক্ষক,সাংবাদিক
সহ নানা পেশা জীবী
সদস্য হিসাবে আছেন কেন্দ্রীয়
কমিটিতে। বারো
বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে সকলেই
সমবেত হবেন সেই সাথে
নতুন কমিটির সদস্যরাও পরিচিত
হবেন।বছরের
সকল কমিটি সম্পন্ন হলে
এলাকা ভিত্তিক সফর,শোভাযাত্রা সেমিনার,মানব বন্ধন হবে
প্রতিটি কমিটির এলাকায়।দেশে -বিদেশে যৌতুক প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধি আমাদের লক্ষ্য। প্রচারেই
প্রসার। সচেতনতা
হবে প্রচারে আর এই " সচেতনতা
বৃদ্ধির মাধ্যমে গড়ে তুলবো প্রতিরোধ
".থাকুন আমাদের সাথে।
শুভেচ্ছান্তে
মুহাম্মদ
জাহাঙ্গীর আলম বাবু ,
সভাপতি
যৌতুক প্রতিরোধ আন্দোলন বাংলাদেশ
সিঙ্গাপুর
শাখা।